সজনে পাতার উপকারিতা।। benefits of moringa leaf>www.valodactar.com
সজনে পাতার উপকারিতা।। benefits of moringa leaf>www.valodactar.com
সজনে
পাতার উপকারিতা।। benefits of moringa
leaf
সজিনা বা মরিঙ্গা
সজিনা বা মরিঙ্গা যার উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Moringa oleifera । আবহমানকাল থেকে সারা বিশ্বে এটি শুধু গরীবের শাক-সব্জির উৎস হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। কিন্তু হালে এটি অলৌকিক গাছ বা মিরাক্কল ট্রি নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। সজনে পাতার আশ্চর্যজনক উপকারিতার কারণে এখন বিশ্বজুড়ে লোকেরা সজিনা বা মরিঙ্গাকে অলৌকিক খাদ্য বা সুপারফুড হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে । সারা বিশ্বে একটি উন্নত মানের শাক-সব্জির উৎস হিসাবে এটি এখন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি বেন অয়েল ট্রি বা হর্সরাডিশ গাছ, ড্রামস্টিক গাছ এমনকি অলৌকিক গাছ বা মিরাক্কল ট্রি নামেও পরিচিত। সজনে পাতার উপকারিতার কারণে বিশ্বজুড়ে লোকেরা সজিনা বা মরিঙ্গাকে খাদ্য ও ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা শুরু করেছে। মিরাক্কল ট্রি সজিনা বা মরিঙ্গা কী, সজনে পাতা খাওয়ার নানাবিধ উপকারিতা এবং সেটি কি কি ভাবে খেতে হয় , এটি আরও কোন কোন সুবিধা দিতে পারে এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি কি কি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকের পোস্ট । ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।
এছাড়া শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অত্যাবশ্যকীয় সব এমিনো এসিড সজিনা পাতায় আছে বলে সজিনাকে 'পুষ্টির ডিনামাইট' বলা হয়। সজিনার পাশাপাশি সজিনা পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।সজিনা পাতার গুঁড়োরও বিশেষ গুণাগুণ রয়েছে ।পাতায় কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং কলা থেকে ১৫ গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে। এতে দুধের চেয়েও ৪ গুন বেশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। গাজরের তুলনায় ৪ গুণ ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। ডিমের তুলনায় ২ গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে।
সজনে পাতার উপকারিতা: benefits of moringa leaf
সজিনা একটি অতিপরিচিত
পুষ্টি ও
খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ
সবজি। জীবনে সজনের ডাটা
বা সজনে
শাক হিসাবে খেয়ে আসছেন
এমন মানুষের
সংখ্যা অনেক।
কিন্তু তাদের
সবাই কি
জানেন সজনে
কতটা উপকারী?
এই প্রবন্ধে, মরিঙ্গা
কী, এটি
কোন সুবিধা
দিতে পারে
এবং সম্ভাব্য
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি খুঁজে
বের করুন। সজনে
পাতা খাওয়ার
নানাবিধ উপকারিতা
এবং সেটি
কীভাবে খেতে
হয়, তা
জানিয়েছেন কোয়ান্টাম
হার্ট ক্লাবের
কোঅর্ডিনেটর ডা.
মনিরুজ্জামান, যেটি
তার ভাষায়
এখানে উল্লেখ করা হলো।
সজনে
এক ‘অলৌকিক
পাতা’
আসলে সজনে পাতাকে
এখন বলা
হচ্ছে অলৌকিক
পাতা। বিজ্ঞানীরা
সজনে পাতাকে
বলছেন অলৌকিক
পাতা। কেন?
এত কিছু
থাকতে সজনে
পাতাকে অলৌকিক
পাতা বলা
হচ্ছে কেন?
আসলে সজনে
পাতার যে
ফুড ভ্যালু
(খাদ্যমান), এর
নিউট্রিশন (পুষ্টি),
এর কনটেন্ট
যেকোনো পুষ্টি
বিজ্ঞানীকে বিস্মিত করবে।
সে কারণেই
বিজ্ঞানীরা এখন
বলছেন যে,
এ সময়ের
একটি অলৌকিক
পাতা হচ্ছে
সজনে পাতা।
আজকে আমরা এ
সময়ের একটি
সুপারফুড নিয়ে
আলোচনা করব,
যেটি বলা
যেতে পারে
এ সময়ের
আলোড়ন সৃষ্টিকারী
একটি গবেষণা।
সেটি হচ্ছে
সজনে পাতা;
সুপারফুড সজনে
পাতা। সজনে
পাতার নাম
তো আমরা
ছোটকাল থেকেই
শুনেছি। সজনে
খেতে খেতে
বড় হয়েছি।
সজনে পাতার
ভর্তা খেয়েছি,
শাক খেয়েছি।
এ আবার
এমন কিছু
কী? এর
মধ্যে নতুনত্ব
কী আছে,
যেটা নিয়ে
আলোচনা হতে
পারে?
সজিনা পাতার গুনাগুন
সজনে পাতায় আমিষ
আছে ২৭
শতাংশ। অর্থাৎ
এক কেজি
সজনে পাতা
যদি আপনি
খান, তাহলে
এর ২৭
শতাংশ, মানে
কত? ২৭০
গ্রাম হচ্ছে
আমিষ। ৩৮
শতাংশ হচ্ছে
শর্করা (কার্বোহাইড্রেট)। ২ শতাংশ
হচ্ছে ফ্যাট।
১৯ শতাংশ
হচ্ছে ফাইবার
বা আঁশ। সজিনা
পাতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বলতে গেলে
প্রতি ১০০ গ্রাম সজিনার কাঁচা পাতা বা
শুকনো পাতার পুষ্টি উপাদান
:
পুষ্টি উপাদান |
কাঁচা
পাতায় |
ডাস্ট এ (গুড়া) |
|
প্রোটিন |
৬.৭০
গ্রাম |
২৭.১০
গ্রাম |
|
ফ্যাট
(গ্রাম) - - বা |
১.৭০
“ |
২.৩০
“ |
|
কার্বোহাইড্রেট |
১৩.৫০ “ |
৩৮.২০ “ |
|
ফাইবার |
০.৯
“ |
১৯.২০ “ |
|
মিনারেল |
২,৩০ “ |
৮.৩ ০ “ |
|
ক্যালসিয়াম |
৪৪০ মিঃগ্রাম |
২০০৩ মিঃগ্রাম |
|
ম্যাগনেসিয়াম |
২৪ “ |
৩৬৮ “ |
|
ফসফরাস |
৭০ “ |
২০৪ “ |
|
পটাশিয়াম |
২৪ “ |
১৩২৪ “ |
|
কপার |
১.১ “ |
০.৬০ “ |
|
আয়রন |
০.৭
“ |
২৮.২০ “ |
|
সালফার |
১৩৭
“ |
৮৭০ “
|
|
অক্সালিক এসিড |
১০১
“ |
০.৩০ “ |
|
ভিটামিন এ |
পর্যাপ্ত |
|
|
ভিটামিন বি ১ |
“ |
|
|
ভিটামিন বি ২ |
“ |
|
|
ভিটামিন বি ৩ |
“ |
|
|
ভিটামিন বি ৬ |
“ |
|
|
ভিটামিন সি |
“ |
|
|
|
|
|
|
এর বিশেষ সুবিধাজনক দিক হলো,এটিতে চর্বিও
কম এবং
নক্ষতিকারক কোলেস্টেরল
নেই। আমরা জানি
যে, এখন
ফাইবার বা
আঁশকে খাদ্যের
একটি গুরুত্বপূর্ণ
কম্পোনেন্ট হিসেবে
চিহ্নিত করা
হচ্ছে। আঁশ
কোনো ঐচ্ছিক
খাবার নয়
যে, ইচ্ছা
হলে খেলাম;
ইচ্ছা না
হলে খেলাম
না। ইট
ইজ অ্যা
ম্যান্ডাটোরি কম্পোনেন্ট
(এটা আবশ্যিক
উপাদান)।
প্রত্যেক দিন
আপনার খাদ্যতালিকায়
যেন পর্যাপ্ত
আঁশ থাকে
এবং সেই
সজনে পাতায়
আঁশ আছে
১৯ শতাংশ।
প্রোটিন
তথা অ্যামাইনো অ্যাসিডের
উৎস
সজনে পাতায় অ্যাসেনশিয়াল
অ্যামাইনো অ্যাসিড
আছে আটটি।
ভিটামিন ‘এ’
এবং ভিটামিন
‘সি’ আছে।
রয়েছে প্রচুর
পরিমাণ ক্যালসিয়াম।
ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,
জিংক, আয়রন
এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতগুলো
নিউট্রিয়েন্ট থাকার
কারণে বিজ্ঞানীরা
বলছেন যে,
সজনে পাতা
একটি অলৌকিক
পাতা।
দুধের প্রায়
সমান পুষ্টি
এটি (সজনে পাতা)
যদি তুলনা
করেন কোনো
খাবারের সাথে,
তাহলে আমরা
সবচেয়ে জনপ্রিয়
একটি খাবারের
সাথে তুলনা
করতে পারি।
সেটি হচ্ছে
গরুর দুধ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন,
গরুর দুধের
পুষ্টি এবং
সজনে পাতার
পুষ্টি অলমোস্ট
কাছাকাছি।
আমরা উপমহাদেশে বা
বাংলাদেশে গরুর
দুধ কেন
খাই, কিসের
জন্য খাই?
মূলত কী
লক্ষ্যে খাই?
গরুর দুধ
আমরা খাই
মূলত ক্যালসিয়ামের
জন্য, প্রোটিনের
জন্য, আমিষের
জন্য। গরুর
দুধ খেয়ে
আমরা বলি,
এটা একটা
সুষম খাবার।
গরুর দুধ এবং
সজনে পাতার
মধ্যে পুষ্টিগত
কোনো পার্থক্য
নাই। গরুর
দুধে যা
আছে, সজনে
পাতাতেও তা
আছে। যে
লক্ষ্যে আমরা
মূলত গরুর
দুধ খাই,
সে পর্যাপ্ত
ক্যালসিয়াম আছে
সজনে পাতায়।
পর্যাপ্ত আমিষও
আছে।
সজনে
পাতার ঔষধি গুণঃ
সজনে পাতার কিছু
ঔষধি গুণ
আছে এবং
ঔষধি গুণের
কারণে আর্থ্রাইটিস
নিরাময়ে এটি
দারুণ কার্যকর।
ইতোমধ্যেই আমরা
এক্সপেরিমেন্ট করেছি।
যাদের হাঁটু
ব্যথা আছে,
সজনে পাতার
জুস খান।
সজনে পাতার
ভর্তা খান
অথবা গুঁড়া
খান। ছয়
মাস খান।
দেখেন আপনার
আর্থ্রাইটিসের কী
অবস্থা হয়।
শরীরকে ডিটক্সিফাই
করতে সাহায্য
করে সজনে
পাতা। আমরা
জানি যে,
আমাদের শরীরে
৭০ থেকে
১০০ ট্রিলিয়ন
সেল বা
কোষ আছে।
প্রত্যেকটা কোষের
ভেতরে লক্ষাধিক
রিঅ্যাকশন হয়
প্রত্যেক দিন;
প্রতি মুহূর্তে
এবং এই
লক্ষাধিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, বিক্রিয়া
হতে গিয়ে
ভয়াবহ কিছু
টক্সিন, কিছু
বিষাণু, কিছু
ক্ষতিকর পদার্থ
সেলের ভেতরে
তৈরি হয়।
এগুলোকে আমরা
বলি বর্জ্য
পদার্থ, টক্সিন,
ফ্রি রেডিক্যাল।
এগুলো যদি
সেলের ভেতরে
থেকে যায়,
আপনি কোনো
দিন সুস্থ
থাকতে পারবেন
না। কেউ
আপনাকে সুস্থ
করতে পারবেন
না।
এই বর্জ্য পদার্থকে
বের করার
জন্য আপনি
সজনে পাতা
খেতে পারেন।
এটা দারুণ
একটা ডিটক্স
হিসেবে কাজ
করতে পারে।
আপনার শরীরকে
ডিটক্সিফাই করবে
এবং আপনারা
এখন জানেন,
আমরা সবাই
জানি, বিশ্বব্যাপী
এই ডিটক্স
প্রোগ্রামগুলো দারুণ
জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাত দিন, ১৫
দিন আপনি
একটা বিশেষ
প্রোগ্রাম ফলো
করবেন, বিশেষ
খাবার খাবেন,
আপনার শরীরে
জমানো বর্জ্য
পদার্থগুলো বেরিয়ে
যাবে। তো
সজনে পাতা
সেই কাজটা
করতে আপনাকে
সাহায্য করবে।
আপনার ভেতরের
বর্জ্য পদার্থগুলো
বের করে
দেবে।
সজিনা পাতার পুষ্টি
মাত্রাঃ
সজিনা একটি অতিপরিচিত
পুষ্টি ও
খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ
সবজি। এতে
প্রায় ৩০০
রোগের প্রতিষেধক
হিসেবে কাজ
করে। এছাড়া
শরীরের প্রয়োজনীয়
সব ভিটামিনের
সাথে অত্যাবশ্যকীয়
সব এমিনো
এসিড সজিনা
পাতায় আছে
বলে সজিনাকে
'পুষ্টির ডিনামাইট'
বলা হয়।
সজিনার পাশাপাশি
সজিনা পাতা
পুষ্টি ঘাটতি
পূরণে বিশেষ
ভূমিকা রাখে।
সজিনা পাতার গুঁড়োরও
বিশেষ গুণাগুণ
রয়েছে। পাতায়
কমলার চেয়ে
৭ গুণ
বেশি ভিটামিন
সি এবং
কলা থেকে
১৫ গুণ
বেশি পটাসিয়াম
রয়েছে। এতে
দুধের চেয়েও
৪
গুন বেশি
ক্যালসিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম
ও জিংক
রয়েছে। গাজরের তুলনায় ৪ গুণ ভিটামিন-এ পাওয়া যায়।
ডিমের তুলনায় ২ গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে। সজিনা পাতাকে শাক
হিসেবে খাওয়া
হয়।
সজিনা
পাতার পাউডার, সজনে পাতার গুড়া
খাওয়ার নিয়মঃ
আমরা মনে করি
যে, ফুল
সিজনে সবচেয়ে
উত্তম উপায়
হচ্ছে এটিকে
আপনি জুস
করে খাবেন।
কিছু সজনে
পাতা নিন।
ভালো করে
পরিষ্কার করে
নিয়ে এটাকে
ব্লেন্ডারে নিন।
কিছু পানি
যোগ করে
টেস্টের জন্য
কিছু আদা,
কিছু জিরা,
একটু বিট
লবণ দিতে
পারেন। ভালো
করে ব্লেন্ড
করেন। এরপর
ছেঁকে নিন।
ছেঁকে নিয়ে
খাওয়ার সময়
একটু মধু
দিয়ে খেয়ে
নিন। পৃথিবীর
অন্যতম শ্রেষ্ঠ
জুসটি আপনার
খাওয়া হয়ে
গেল।
সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
যদি আপনার জুস বানাতে ঝামেলা হয় অথবা সব দিন যদি জুস খেতে না পারেন, ভর্তা খান, তবে এটা কাঁচা হলে বেস্ট। যখন আপনি সিদ্ধ করলেন, এই যে নানাবিধ যে উপাদানগুলো আছে, এটি নষ্ট হয়ে যেতে থাকবে। সে জন্য কাঁচা পাতা ভালো করে বেটে নিয়ে এটাকে টেস্টি করার জন্য যা যা লাগে…সেখানে আপনি রসুন দেন, আদা দেন, মরিচ দেন, পেঁয়াজ দেন, যা যা দিলে টেস্টি হয়, দেন। তারপর আপনি খান। সিজনে। সজিনা পাতার বড়া, সালাদ, পাতা বাটা ও সজিনা পাতার পাউডার দ্বারা খাদ্য সুস্বাদু ও শক্তি বর্ধক হয়। যে কোনো স্যুপের সাথে শুকনা সজিনা পাতার পাউডার মিশালে খাদ্যমান বেড়ে যায়। চা বা কফি তৈরিতে সজিনা পাতার পাউডার ব্যবহার করা যায়
সজনে পাতার গুড়া বা ডাস্ট
অফ সিজনে গুঁড়া।
সজনে পাতাকে
আপনি সিজনে
ভালো করে
রোদে শুকান।
শুকানোর পর
এটাকে ক্রাশ
করে ফেলেন।
ছয় মাস
এটা চমৎকার
থাকবে এবং
এক থেকে
দুই চা
চামচ সজনে
পাতা যথেষ্ট
আপনার পুষ্টির
জন্য। প্রতিদিন
এক চামচ
সকালে, এক
চামচ রাত্রে।
ছয় মাস
পর আপনি
আপনার স্ট্রেংথ,
আপনার কর্মক্ষমতা
দেখে নিজেই
বিস্মিত হবেন। তাই
আমরা বলব
যে, নিজের
দেশের এই
অ্যাভেইলেবল এই
পাতাটিকে অবহেলা
করবেন না।
আজ না
হলে কাল
থেকে শুরু
করুন। অফ
সিজনে আপনি
গুঁড়ো সংগ্রহ
করুন।
সজনে পাতার গুড়া বা ডাস্ট করার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন
সজনে পাতার
বিস্ময়কর উপকারিতা
শাক,ভর্তা হিসেবে
খাওয়া যায়
মুখে রুচি
আসে। সজনের
পাতার (কচি
নয়) রস
প্রতিদিন নিয়ম
করে ৪-৬ চা চামচ
খেলে উচ্চ
রক্ত চাপের
সমস্যা অনেকাংশে
কমে যায়।
প্রাথমিক অবস্থায়
টিউমার ধরা
পরলে তাতে
সজনে পাতা
বেটে প্রলেপের
মতো ব্যবহার
করলে টিউমারের
ফোলাভাব কমাতে
সাহায্য করে।
এছাড়া ব্যথা
বা আঘাত
পেলে দেহের
কোনো অংশ
ফুলে উঠলে
একই উপায়ে
তা নিরাময়
করা সম্ভব।
সজনে পাতা ১/২ মগ পানিতে
ফুটিয়ে নিয়ে
সেই পানি
দিয়ে ভালো
করে প্রতিদিন
কুলকুচো করতে
হবে। এতে
মাড়ির সকল
সমস্যার সমাধান
হয়। এতে উপস্থিত
Antibacterial উপাদান কিডনি ও যকৃতের সুস্থতায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
পাতার শাক খেলে
জ্বর ও
যন্ত্রণাদায়ক সর্দি
আরোগ্য হয়।
অপুষ্টি হলো
অন্ধত্বের অন্যতম
কারণ। অন্ধত্ব
নিবারণে প্রচুর
–এ ভিটামিন
সমৃদ্ধ সজনে
পাতা খাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন
Indian royal common wealth society for blind.
বেশ কয়েকটি প্রাথমিক
গবেষণায় দেখা
গেছে যে
সজনে ও
সজনে পাতায়
পাওয়া ইনসুলিন
জাতীয় প্রোটিন
রক্তে শর্করাকে
হ্রাস করতে
পারে। পাতায়
পাওয়া উদ্ভিদের
রাসায়নিকগুলি শরীরের
চিনিকে আরও
ভালভাবে প্রক্রিয়াজাত
করতে সহায়তা
করে এবং
এটি শরীর
কীভাবে ইনসুলিন
নিঃসরণ করে
তা প্রভাবিত
করতে পারে।যা
ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্য অনেক
উপকারী।
যারা সদ্য মা
হয়েছেন তাদের
জন্য এটি
খুবই উপযোগী।
সাজনা পাতা
মায়ের বুকের
দুধ বৃদ্ধি
করতে সহায়তা
করে এবং
মায়ের দেহে
Calcium ও Iron চাহিদা পূরণ
করে।
ল্যাব পরীক্ষায় দেখা
গেছে, সজনে
পাতার নির্যাস
অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
কোষগুলোর বৃদ্ধি
ধীর করে
দেয় এবং
কেমোথেরাপি আরও
ভালভাবে কাজ
করতে সহায়তা
করে। অন্যান্য
ল্যাব স্টাডিতে
দেখা গেছে
যে সজনে
পাতা, বাকল
এবং শিকড়গুলির
ক্যান্সার বিরোধী
প্রভাব রয়েছে
যা নতুন
ওষুধের দিকে
নিয়ে যেতে
পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে
করেন যে,
সজনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য
স্বাস্থ্য-উদ্দীপক
রাসায়নিকগুলো মস্তিষ্কের
স্ট্রেস এবং
প্রদাহ নিরাময়
করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও
অনন্য ভূমিকা
পালন করে।
আরও
অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে যেমনঃ-
১।
ত্বক এবং
চুলের পুষ্টি ও
সুরক্ষাঃ
প্রাণীদের সাথে
জড়িত গবেষণায়
পরামর্শ দেওয়া
হয়েছে যে
মোরিঙ্গা বীজের
তেল ত্বকের
ক্ষতগুলি আরও
দ্রুত নিরাময়ে
সহায়তা করতে
পারে। এটি
করার একটি
উপায় হল
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস
হ্রাস করা।
কিছু বিশেষজ্ঞের
মতে, মোরিঙ্গা
বীজের তেল
চুলের স্বাস্থ্যের
জন্যও উপকারী
হতে পারে।
২। শোথ
চিকিত্সাঃ
এডিমা হল যখন
শরীরের টিস্যুতে
তরল জমা
হয়, উদাহরণস্বরূপ,
প্রদাহের কারণে।
কানের শোথ
কানের চারপাশে
টিস্যু ফুলে
যেতে পারে,
সাধারণত সংক্রমণের
কারণে। একটি
গবেষণায়, মোরিঙ্গা
বীজের তেল
প্রয়োগ করলে
কানের শোথ
সহ ইঁদুরের
ত্বকের প্রদাহ
কমে যায়।
এটি পরামর্শ
দেয় যে
মোরিঙ্গার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি
কানের শোথের
চিকিত্সা করতে
সাহায্য করতে
পারে, যদিও
আরও গবেষণার
প্রয়োজন।
৩।
লিভার রক্ষা করা;
মরিঙ্গা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি
লিভার ডিজিজ
থেকে লিভারকে
রক্ষা করতে
সাহায্য করতে
পারে। এক
গবেষণায়, গবেষকরা
গিনি শূকরকে
মোরিঙ্গা পাতাযুক্ত
খাবার খাওয়ান।
যারা বেশি
পরিমাণে মরিঙ্গা
খেয়েছিলেন তাদের
কোলেস্টেরল এবং
ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা
কম ছিল
এবং তাদের
লিভারে কম
প্রদাহ ছিল।
৪।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
এবং চিকিত্সাঃ
মরিঙ্গায় এমন
বৈশিষ্ট্য রয়েছে
যা ক্যান্সার
প্রতিরোধে সাহায্য
করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, এতে
নিয়াজিমিসিন রয়েছে,
একটি যৌগ
যা ক্যান্সার
কোষের বিকাশকে
দমন করে।
কিছু বিজ্ঞানীর
মতে, মোরিঙ্গা
পাতা, বাকল
এবং গাছের
অন্যান্য অংশের
নির্যাসে এমন
বৈশিষ্ট্য থাকতে
পারে যা
ক্যান্সার কোষকে
মেরে ফেলতে
পারে। যদি
আরও গবেষণা
এটি নিশ্চিত
করে, তারা
স্তন, লিভার,
কোলোরেক্টাল এবং
অন্যান্য ক্যান্সারের
চিকিৎসায় কার্যকর
প্রমাণিত হতে
পারে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে করনীয় জানতে ক্লিক করুন
৫।
পেট খারাপ
চিকিত্সাঃ
মরিঙ্গা নির্যাস
কিছু পেটের
রোগের চিকিৎসায়
সাহায্য করতে
পারে। এই ক্ষেত্রে:
তন্তুযুক্ত শুঁটি
হজমের স্বাস্থ্যের
উপকার করতে
পারে এবং
কোলন ক্যান্সার
প্রতিরোধে সাহায্য
করতে পারে।
মোরিঙ্গার পাতাগুলি
একটি রেচক
প্রভাব দেখিয়েছে,
যা মরিঙ্গাকে
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য
একটি সম্ভাব্য
বিকল্প করে
তুলেছে। একটি
গবেষণায়, মোরিঙ্গা
পেটের অম্লতা
প্রায় 85% কমিয়েছে, পরামর্শ
দেয় যে
এটি পেপটিক
আলসার প্রতিরোধ
করতে পারে।
মরিঙ্গা আলসারেটিভ
কোলাইটিস প্রতিরোধে
সাহায্য করতে
পারে কারণ
এর প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব
পাচনতন্ত্রকে ক্ষতির
হাত থেকে
রক্ষা করতে
পারে।
৬।
খাদ্যবাহিত ব্যাকটেরিয়া
সংক্রমণের বিরুদ্ধে
লড়াই করাঃ
মরিঙ্গাতে এমন
পদার্থ রয়েছে
যা কিছু
খাদ্যজনিত রোগজীবাণুর
বিরুদ্ধে কাজ
করতে পারে,
যেমন স্ট্যাফিলোকক্কাস
অরিয়াস (এস.
অরিয়াস) এবং
এসচেরিচিয়া কোলি
(ই. কোলি)
। মোরিঙ্গার অ্যান্টিবায়োটিক
এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের
কারণ হতে
পারে এমন
প্যাথোজেনগুলির বৃদ্ধি
রোধ করতে
সাহায্য করতে
পারে।
৭।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
প্রতিরোধ করাঃ
একটি ইঁদুর গবেষণার
লেখকদের মতে,
মোরিঙ্গা নির্যাসটিতে
প্রদাহ-বিরোধী
বৈশিষ্ট্য রয়েছে
যা রিউমাটয়েড
আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে
সহায়তা করতে
পারে।
৮।
মেজাজ এবং
স্নায়ুতন্ত্রের রোগের
চিকিত্সাঃ
মরিঙ্গার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ স্নায়ুতন্ত্রকে
প্রভাবিত করে
এমন ব্যাধিগুলির
বিরুদ্ধে রক্ষা
করতে পারে,
যেমন মাল্টিপল
স্ক্লেরোসিস (এমএস),
আলঝেইমার রোগ,
নিউরোপ্যাথিক ব্যথা
এবং বিষণ্নতা।
এতে তাদের
শ্রমজনিত ক্লান্তিও
ব্যথা ইত্যাদি
দূর হয়। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস
করেন যে
এটিতে নিউরোপ্রোটেক্টিভ
বৈশিষ্ট্য থাকতে
পারে, তবে
তারা এখনও
সনাক্ত করতে
পারেনি কিভাবে
তারা কাজ
করে।
৯।
কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম
রক্ষাঃ
মোরিঙ্গার অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন প্যাথোজেনগুলির বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। মোরিঙ্গার অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন প্যাথোজেনগুলির বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। মরিঙ্গায় রয়েছে ট্রাস্টেড সোর্স অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট, যেমন কোয়ারসেটিন, যা কার্ডিওভাসকুলার বা হৃৎপিণ্ডে স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। Quercetin লিপিড গঠন এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে এবং উভয়ই হৃদরোগ উপশমে অবদান রাখতে পারে।
হৃৎপিণ্ডে স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং ব্যাধিগুলির প্রতিরোধে করনীয় জানতে ক্লিক করুন
১০।
ডায়াবেটিস চিকিত্সা:
মরিঙ্গা পাতার
নির্যাস ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের
উপকার করতে
পারে, যেমন
রক্তে শর্করা
এবং ইনসুলিনের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করা
এবং অঙ্গের
ক্ষতি থেকে
রক্ষা করা।
এর বৈশিষ্ট্যগুলি
জটিলতা প্রতিরোধ
করতে এবং
রোগের অগ্রগতি ধীর
করতে সাহায্য
করতে পারে। যদিও মোরিঙ্গা কীভাবে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
করতে পারে
তা সনাক্ত
করার জন্য
আরও গবেষণার
প্রয়োজন রয়েছে।
১১।
হাঁপানির চিকিৎসাঃ
মরিঙ্গাতে এমন
অণু রয়েছে
যা হাঁপানি,
শ্বাসনালী সংকোচন
এবং শ্বাসনালীতে
প্রদাহ পরিচালনা
বা প্রতিরোধ
করতে সাহায্য
করতে পারে।
একটি গবেষণায়
দেখা গেছে
যে গবেষকরা
তাদের মরিঙ্গা
নির্যাস দেওয়ার
পরে গিনিপিগের
ফুসফুসের কার্যকারিতা
উন্নত হয়েছে।
১২।
কিডনিতে পাথর
প্রতিরোধ করাঃ
কিছু ঐতিহ্যবাহী প্রতিকার
কিডনিতে পাথর
প্রতিরোধে মোরিঙ্গা
গ্রহণের পরামর্শ
দেয়। ল্যাবরেটরি
পরীক্ষায় প্রমাণ
পাওয়া গেছে
যে মরিঙ্গার
নির্যাস কিডনিতে
খনিজ তৈরি
এবং পাথর
তৈরি করা
বন্ধ করতে
পারে।
কিডনি ব্যাধিগুলির প্রতিরোধে করনীয় জানতে ক্লিক করুন
১৩।
উচ্চ রক্তচাপ
হ্রাস
মরিঙ্গাতে এমন
পদার্থ রয়েছে
যা রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করতে পারে।
একটি সমীক্ষায়,
একদল সুস্থ
অংশগ্রহণকারী এক
সপ্তাহের জন্য
120 গ্রাম রান্না
করা মোরিঙ্গা
পাতা খেয়েছিল,
অন্য দল
তা করেনি।
খাওয়ার দুই
ঘন্টা পরে,
যারা মরিঙ্গা
খেয়েছিলেন তাদের
রক্তচাপ কম
ছিল যারা খায়নি তাদের চেয়ে
।
১৪।
চোখের স্বাস্থ্যের
উন্নতি
মরিঙ্গাতে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বিশ্বস্ত উৎস-
বিটা ক্যারোটিন,
যা চোখের
স্বাস্থ্য বজায়
রাখতে এবং
চোখের রোগ
প্রতিরোধের জন্য
অপরিহার্য বিশ্বস্ত
উৎস।
১ ৫।
রক্তাল্পতা এবং
সিকেল সেল
রোগের চিকিৎসা
বিশ্বের কিছু
অংশের লোকেরা
ঐতিহ্যগতভাবে রক্তাল্পতার
চিকিত্সা এবং
প্রতিরোধের জন্য
মোরিঙ্গা ব্যবহার
করে। ল্যাবরেটরি
পরীক্ষার ফলাফলগুলি
পরামর্শ দিয়েছে
যে মোরিঙ্গাকে
খাদ্য বা
ওষুধ হিসাবে
গ্রহণ করা
সিকেল সেল
রোগ পরিচালনা
করতেও সাহায্য
করতে পারে। এটি
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এর
চেলেটিং কার্যকলাপ
- যার অর্থ
এটি অতিরিক্ত
আয়রন অপসারণ
করতে সাহায্য
করতে পারে
১৬।
মোরিঙ্গা নির্যাস
স্থূলতার সাথে
সম্পর্কিত বিভিন্ন
কারণ ম্যানেজ
করতে সাহায্য
করতে পারেঃ
স্থূলতায় আক্রান্ত
ব্যক্তিদের জন্য
সম্ভাব্য সুবিধার
মধ্যে রয়েছে।
সজনে পাতা
মানেই প্রচুর
ভিটামিন আর
খনিজের সম্ভার।
সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো আছেই।
‘হাউ টু
লস ব্যাক
ফ্যাট’ এর
লেখক সিন্থিয়া
ট্রেনার জানিয়েছেন,
‘সজনে পাতায়
ওজন কমানোর
উপাদান যেমন
রয়েছেন, তেমনি
আছে ফ্যাটের
বদলে প্রচুর
এনার্জি।
কোলেস্টেরলের লেভেল
কমিয়ে, হজম
শক্তি বৃদ্ধি
করে ও
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করে। ডায়ারিয়া,
কলেরা, আমাশয়,
কোলাইটিস এবং
জন্ডিসের সময়
ব্যাপক কার্যকরী
সজনে পাতা।
কাঁচা পাতার
রস আরও
বেশি উপকারী
শরীরের জন্য।
এছাড়াও শত
বছর ধরে
প্রায় তিনশরও
বেশি রোগের
ঔষধ হিসেবে
ব্যবহৃত হয়ে
আসছে। প্রদাহ
প্রতিরোধ,লিপিড
নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমানো,লিভার
রক্ষা করে,এবং ম্যাটসাস্লীম এর মতো মরিঙ্গা ওজন
কমাতেও সাহায্য
করতে পারে
।
Moringa capsules |
সাজনা
বা Moringa পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
সাজনা বা Moringa এর কিছু
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। যেমন পেটের ভিতর ভুট-ভাট, গ্যাস্ট্রিক ভাব,
খাবারে অরুচি ইত্যাদি সাময়িক অসুবিধা দেখা যেতে পারে যা উপকারের তুলনায় নগন্য। যাইহোক, যে
কোন রুগীর ক্ষেত্রে মরিঙ্গা ব্যবহারের বিষয়ে
ডাক্তারের সাথে
আলোচনা করা
নেওয়া উচিত, কারণ
এটি অন্যান্য
ওষুধের সাথে
ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে।
নীচে
মোরিঙ্গা পাতার
গুণাগুণ এবং
ক্ষতি সম্পর্কে
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত
পাঁচটি প্রশ্নোত্তর
(FAQs)ঃ
১.।
প্রশ্ন: মরিঙ্গা পাতা
খাওয়ার স্বাস্থ্য
উপকারিতা কি?
উত্তর: মোরিঙ্গা
পাতা ভিটামিন,
খনিজ এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ
প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে
সমৃদ্ধ। এটি
বিভিন্ন স্বাস্থ্য
সুবিধার সাথে
যুক্ত হয়েছে,
যেমন ইমিউন
ফাংশন উন্নত
করা, প্রদাহ
হ্রাস করা,
জ্বালা কমানো স্বাস্থ্যকর
হজমের প্রচার
করা এবং
সামগ্রিক সুস্থতাকে
উন্নত করা।
২ । প্রশ্ন: মরিঙ্গা কি
কোনো নির্দিষ্ট
রোগের সাথে
মোকাবিলা করতে
সাহায্য করতে
পারে?
উত্তর: প্রকৃতপক্ষে,
মোরিঙ্গা পাতাটি
নির্দিষ্ট অসুস্থতার
জন্য এর
প্রত্যাশিত প্রতিকারমূলক
ফলাফলের জন্য
বলা হয়েছে।
এটি রক্তে
চিনির মাত্রা,
কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমিয়ে এবং
ইনসুলিন সচেতনতা
বৃদ্ধি করে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করতে
পারে। তা
সত্ত্বেও, থেরাপির
বিকল্প হিসাবে
এটিকে জড়িত
করার আগে
একজন দক্ষ চিকিৎসকের কাউন্সেলিং প্রয়োজন হতে পারে।
৩। প্রশ্ন: মরিঙ্গা
পাতা খাওয়ার
সাথে কি
কোন আনুষঙ্গিক
প্রভাব বা
বিপদ আছে?
উত্তর: যদিও
মোরিঙ্গা পাতাকে
বেশিরভাগ মানুষের
জন্য নিরাপদ
হিসাবে দেখা
হয়, তবে
কিছু লোক
পেট সংক্রান্ত
সমস্যাগুলির সম্মুখীন
হতে পারে,
যেমন পেটের
সমস্যা, যখন
প্রচুর পরিমাণে
সেবন করা
হয়। এটি
একইভাবে নির্দিষ্ট
ওষুধের সাথে
সহযোগিতা করতে
পারে, তাই
আপনার কোনো
উদ্বেগ থাকলে
এমন ক্ষেত্রে
একজন মেডিকেল
কেয়ার বিশেষজ্ঞের
সাথে কথা
বলা অপরিহার্য।
৪। প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায়
বা বুকের
দুধ খাওয়ানোর
সময় মরিঙ্গা
পাতা খাওয়া
কি সুরক্ষিত?
উত্তর: গর্ভবতী
বা বুকের
দুধ খাওয়ানো
মহিলাদের মোরিঙ্গা
পাতা খাওয়ার
সময় সতর্কতা
অনুশীলন করা
উচিত। এটিতে
সুবিধাজনক পরিপূরক
থাকা সত্ত্বেও,
এই সময়কালে
এর সুস্থতার
উপর সীমাবদ্ধ
পরীক্ষা রয়েছে।
মানানসই ডোজ
এবং প্রত্যাশিত
মাত্রা নির্ধারণ
করার জন্য
একজন মেডিকেল এক্সপার্টের সাথে কথা বলা
বুদ্ধিমানের কাজ।
৫। প্রশ্ন: মোরিঙ্গা
কি ওজন
কমানোর সহায়ক
হিসাবে ব্যবহার
করা যেতে
পারে?
উত্তর: কম
ক্যালোরি এবং
পরিপূরক প্রকৃতির কারণে
মোরিঙ্গা পাতাকে
বেশিরভাগ সময়
ওজন হ্রাস
সম্পূরক হিসাবে
দেখানো হয়।
যদিও এটি
একটি কঠিন
খাদ্যাভ্যাসের একটি
অংশ হতে
পারে, বিশাল
ওজন হ্রাসে
এর কার্যকারিতাকে
সাহায্য করার
জন্য তাৎক্ষণিক
কোনো প্রমাণ
নেই। নিয়ন্ত্রণযোগ্য
ওজন হ্রাস
ক্রমাগত একটি
শালীন খাদ্যাভ্যাস,
স্বাভাবিক কার্যকলাপ,
এবং পৃথকীকৃত
সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত
করা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই