জ্বরের কারন লক্ষন ও চিকিৎসা > www.valodactar.com
জ্বরের কারন লক্ষন ও চিকিৎসা
জ্বর একটা সাধারন স্বাস্থ্য সমস্যা । মোটকথা জ্বর কি,জ্বরের কারন কি, জ্বরের প্রকারভেদ ,বিভিন্ন প্রকারের জ্বরের লক্ষন, জ্বর প্রতিরোধের উপায়, জ্বরের প্রতিকার ও চিকিৎসা, জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত বা উচিত না ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিয়ে এই পোষ্ট । নিচে বিস্তারিত –
জ্বর কিঃ
আমাদের শরীরে আঘাত লাগা, ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়ার ইত্যাদি জীবানুর সংক্রমণ, অন্য কোন অসুখের আক্রমণ, ইনফ্লামেসন জনিত স্ফীতি বা অন্য যে কোন কারণে দেহের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়াকে জ্বর বলা হয় । সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত হয় ফারেনহাইট স্কেলে ৯৮.৪ ডিগ্রি । যখন সেই তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর বেশি বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের বুঝতে হবে শরীরে জ্বর হয়েছে । গায়ে হাত দিয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে কিনা অনুমান করা যায় । সঠিকভাবে তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার ব্যবহার করা দরকার । থার্মোমিটার বগলে বা জিভের নিচে দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হয় । প্রানি বিশেষ করে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক (৯৮.৪ ডিগ্রি ফাঃ) তাপমাত্রা থেকে বেশী তাপমাত্রা রিপোর্ট হলেই সেটাকে জ্বর বলা হয় । সহজ উপায়ে বা তাৎক্ষনিক ভাবে জ্বর মাপতে প্রত্যেকের বাড়িতে বা অফিসে ডিজিটাল ইনফ্রারেড থার্মোমিটার রাখা উচিত ।
ঘরে বসে ডিজিটাল ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কিনতে চাইলে ক্লিক করুনঃ Buy Now
মানুষের শারীরিক অসুস্থতার প্রথম ও অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণ হচ্ছে জ্বর । জ্বর নিজেই কোন রোগ না বরং শরীরের অন্য কোন রোগের প্রাথমিক লক্ষন। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন বয়স, লিঙ্গ, সময় ,পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, কাজের মাত্রা ও ধরন ইত্যাদি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানেই জ্বর নয়। একজন সুস্থ লোক যখন ব্যায়াম করে তখন তার দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে কিন্তু তা জ্বর হিসেবে গণ্য হবে না । যেহেতু তার মস্তিষ্কে নিয়ন্তিত নির্দিষ্ট সূচক (set point) স্বাভাবিক। অন্য দিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রাও কারও কারও জন্য জ্বর হিসেবে গণ্য হতে পারে। যেমনঃ অসুস্থ রোগীর (যে দেহের তাপ উৎপাদনে দুর্বল) ৯৮.৫ ডিগ্রি ফাঃ ই জ্বর হিসেবে গণ্য হবে। মানুষের দেহের তাপমাত্রা কোনো ক্রমেই ৯৫ o ফাঃ এর কম বা ১১০ o ফাঃ এর বেশি হতে পারে না।
জ্বরের কারন কিঃ
বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট ইত্যাদি জীবানুর সংক্রমনে শরীরের স্বয়ংক্রিয় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ফল স্বরূপ শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বা জ্বরের অনেক কারণ রয়েছে । তার মধ্যে সাধারণত ভাইরাস জ্বরই বেশি হয়ে থাকে। - বিশেষ করে ঋতু বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে এ সংক্রমন তথা জ্বর হয়ে থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ,ডেঙ্গু , চিকুনগুনিয়া,করোনা ,চিকেনপক্স , হেপা টাইটিস এ,বি,সি , ইত্যাদি ভাইরাসের বিভিন্ন ভেরাইটিসের সংক্রমনে জ্বর হয় এবং জনজীবনকে অনেক সময় নাস্তা নাবুদ করে ছাড়ে।
এ ছাড়াও ব্যাকটেরিয়া,প্যারাসাইট সংক্রমন ও দৈহিক নানা প্রকার জৈবিক ম্যাকানিজমে অসংগতির প্রতিক্রিয়ার ফল স্বরূপও জ্বর হতে পারে । কিছু জটিল রোগে র্যাশসহ জ্বর হয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার, মস্তিষ্কের প্রদাহ, টাইফয়েড, যক্ষা,ফুস্ফুস প্রদাহ,রিউমেটিক ফিভার, রক্তনালির প্রদাহ, একজিমা, সেলুলাইটিস, এসএলই, আইটিপি ইত্যাদি কারনেও প্রাথমিক লক্ষন হিসাবে জ্বর দেখা দিতে পারে।
জ্বরের প্রকারভেদঃ
বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন প্রকারের জ্বর হতে পারে যেমন -
১)বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে সৃষ্ট জ্বর -ইনফ্লুয়েঞ্জা ,করোনা ,ডেঙ্গু ,চিকুনগুনিয়া,চিকেনপক্স ,জন্ডিস ইত্যাদি ।
২)বিভিন্ন প্রকারের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে সৃষ্ট জ্বর - টাইফয়েড ,যক্ষা, নিউমোনিয়া , ফুস্ফুস প্রদাহ বা ব্রংকাইটিস , নেফ্রাইটিস ইত্যাদি ।
৩) বিভিন্ন প্রকারের প্যারাসাইটের সংক্রমনে সৃষ্ট জ্বর - আমাশয়, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর , ফাইলেরিয়া, ওয়ার্ম ইত্যাদি ।
৪) বিভিন্ন প্রকারের নন ইনফেকটিভ জটিল রোগে র্যাশসহ জ্বর যেমন - ক্যানসার, মস্তিষ্কের প্রদাহ ,রিউমেটিক ফিভার, রক্তনালির প্রদাহ, একজিমা, এলারজি ইত্যাদি কারনেও প্রাথমিক লক্ষন হিসাবে জ্বর হতে পারে।
বিভিন্ন প্রকারের জ্বরের লক্ষনঃ
বিভিন্ন প্রকারের জ্বরের লক্ষন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের দুই থেকে সাত দিন পর এই জ্বর প্রকাশিত হয়। ভাইরাস সংক্রমনের ফলে সৃষ্ট জ্বরে অল্প সময় অর্থাৎ ১/২ দিনের মধ্যেই জ্বরের তীব্রতা বেড়ে সর্বচ্চো মাত্রায় ( ১০০- ১০৫ ডিগ্রি )পৌঁছে যায়। সাথে থাকে শীত শীত ভাব,নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া,চোখ খুলে তাকাতে না পারা, নাক-মুখ ঝাঝিয়ে যাওয়া, সারা শরীরে কম-বেশী চুলকানি,মাথা ভারী, মাথা ব্যথা, শরীরে ও গিরায় গিরায় ব্যথা-কামড়ানি, খাওয়ায় তীব্র অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, অস্থিরতা ও ঘুম কম হওয়ার মতো লক্ষণগুলোও দেখা দিতে পারে। আবহাওয়া পরিবর্তন ও প্রচন্ড গরমে এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই প্রকারের জ্বরে লক্ষন গুলোর তীব্রতা যত তাড়াতাড়ি বাড়ে ,ঠিক ততো তাড়াতাড়িই আবার কমেও যায়। শরীরে ভাইরাস সংক্রমনের ফলে সৃষ্ট টক্সিন শিশু,বৃদ্ধ ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের রুগীদের নার্ভ ,লাং লিভার, কিডনি ও হার্টের উপর বিশেষ করে নার্ভের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে জ্বরের লক্ষন গুলোর তীব্রতা বাড়ায় - এমনকি জীবন বিপন্ন করে তোলে । জটিলতা ও সেকেন্ডারি ইনফেকশন না থাকলে ৩ - ৭ দিনের মধ্যে এ জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যায় ।
সহজে ব্যবহার যোগ্য ডিজিটাল থার্মোমিটার কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বিভিন্ন প্রকারের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে সৃষ্ট জ্বরঃ
সেই তুলনায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে সৃষ্ট জ্বরের তীব্রতা কম হলেও , লক্ষন গুলো প্রায় একই । তবে তীব্রতা অত তাড়াতাড়ি বাড়ে না , আস্তে আস্তে বেড়ে পিকে পৌছায় । সাথে মাথায় তিব্র ব্যাথা, পেটের গণ্ডগোল , শুল, ব্যাথা, বমি ,বুকে ব্যাথা সহ দুর্গন্ধ যুক্ত কাশি ,ঘুম না হওয়া এবং ৩ -৭ দিনের পরও জ্বরের তীব্র লক্ষনগুলো দূরীভূত না হয়ে বরং টক্সিমিয়ার লক্ষন ( যেমন-তীব্র জ্বর,পানি পিপাসা, অনিদ্রা,স্থান-কাল-পাত্র বুঝতে না পারা বা ভুল ভাল বকা ইত্যাদি ) প্রকাশ পেতে থাকে। এবং শারীরিক অবস্থা ক্রমঃ অবনতির দিকে চলে যায়। এমন অবস্থা ভাইরাস - ব্যাকটেরিয়া উভয় সংক্রমনেই ঘটতে পারে । তবে আশার কথা হলো এর শতকরা হার খুবই কম।
বিভিন্ন প্রকারের প্যারাসাইটের সংক্রমনে সৃষ্ট জ্বরঃ
বিভিন্ন প্রকারের নন ইনফেকটিভ জটিল রোগে জ্বরঃ
জ্বর প্রতিরোধের উপায়ঃ
জ্বর তা সে যে কারনেই হোক না কেন ,সমস্থ শরীরকে অশান্তি-অস্থির করে তোলে । সেই জন্য শরীরে জ্বর চলে আসার মতো যাবতীয় গলিপথ বন্ধ করতে হবে। যেমন-
ক) অতিরিক্ত গরম-ঠাণ্ডা পরিবেশ ও এলারজিক খাদ্য , মাইট -ডাস্ট পার্টিকেল,গরমে বৃষ্টি ভেজা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে,
খ) সব সময় মশার কামড় ও মাছির আছর থেকে নিজ ,পরিবার ও পরিবেশকে মুক্ত রাখতে হবে,মসারির ব্যবহার ১০০% নিশ্চিত করতে হবে।
গ) সব সময় ব্যালেন্স ডায়েট ( আনুপাতিকহারে শর্করা ,প্রোটিন ,ফ্যাট ,ভিটামিন ও মিনারেলস) মেইনটেইন ,পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান,প্রচুর পরিমানে সাইট্রাস জাতিয় ফল ( পেয়ারা,লেবু,আমলকি,লটকন,আনারস ) খাওয়া ,প্রতিদিন সকালে-সন্ধ্যায় ২ গ্লাস লেবুর সরবত ও ৩ কোয়া রসুনের সাথে চানাচুর-মুড়ি দিয়ে লাল চা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
ঘ) পরিবেশ থেকে ভাইরাস - ব্যাকটেরিয়া এড়িয়ে চলতে মাস্ক ব্যবহার , জীবানু মুক্ত খাদ্য-পানীয় গ্রহন ও আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৪ হাত দূরে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে যথাসম্ভব নিজ বাড়িতে অবস্থানের সামাঝিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ঙ) করোনা ভাইরাস সহ প্রচলিত অন্যান্য ভাইরাসেরও টিকা গ্রহন করতে হবে।
জ্বরের প্রতিকার ও চিকিৎসাঃ
ক) ভাইরাস জ্বর হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সচেতন থাকলে সহজেই প্রতিকার করা সম্ভব। যে কোন জ্বরে শরীরের
তাপমাত্রাকে ১০০ ডিগ্রির নিচে নামিয়ে আনতেই হবে । তাপমাত্রা কমাতে ১০ মিনিট ধরে মাথায় ঠাণ্ডা পানির ধারানি,
স্পঞ্জ করা বা গামচা ভিজিয়ে সারা গা মোছাতে হবে । অতঃপর ঠাণ্ডা পানিতে রুমাল ভিজিয়ে কপালে পটি দিয়ে রাখতে হবে। এতে দ্রুত ১-২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে আসবে।
খ) জ্বর ,মাথা ব্যথা ,গা-হাত-পায়ের ব্যথার জন্য ভালো কোম্পানির প্যারাসিটামল ( নাপা, এইচ,রিসেট ইত্যাদি ) সাসপেনসন ( শিশুদের জন্য) অথবা ট্যাবলেট বয়স ও ওজন ভেদে নির্দেশিত মাত্রায় ( ১২৫ - ১০০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত) ৪ - ৬ ঘণ্টা পর পর আহারের পর সেবন করতে হবে। ভিটামিন সি যেমন জুসি পাওডারের ১ টা স্যাসেট ৫০০ মিলি বিশুদ্ধ পানিতে গুলিয়ে অল্প অল্প করে ১ ঘণ্টায় খেয়ে (প্রতিদিন ১/২ বার) শেষ করতে হবে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা দ্রুত সুস্থ করতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত সর্দি থাকলে ফেক্সো সিরাপ/ ট্যাবলেট অথবা মোনাস ট্যাবলেট নির্দেশিত মাত্রায় (প্যাকের গায়ে লেখা থাকে) খেতে হবে । গ্যাস্ট্রিক আপসেট থাকলে সারজেল -২০ মিলিগ্রাম দিনে ১/২ বার খাওয়া যেতে পারে। এই ব্যবস্থায় ৫ দিনেও জ্বর ভালো না হলে বা সেকেন্ডারি ইনফেকশন থাকলে মেডিসিনের ভালো ডাক্তার এর তত্তাবধানে জ্বরের সুনির্দিষ্ট কারন নির্ণয় সাপেক্ষে ঐ চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয়( এন্টিবায়োটিক ) ওষুধ খেতে হবে।
গ) সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম প্রয়োজন। মাস্ক ব্যবহার সহ আহার-বিহার , চাল-চলনে সর্বদাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। জ্বরে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে বা বুকে ব্যাথা হলে , ডায়বেটিস, হৃদরোগ, কিডনি বা ফুসফুসের রোগীদের হঠাৎ পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে অতিসত্বর হাসপাতালে ভালো ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে হবে ।
জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিতঃ
জ্বর হলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ে।ফলে বাড়তি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। তাই খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি ও জিঙ্কযুক্ত খাবার প্রাধান্য দিতে হবে। এই সময় বেশির ভাগ মানুষেরই রুচি কমে যায়। খাবারের প্রতি অনীহা থাকলেও পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে রোগীকে সঠিক খাবার-দাবার চালিয়ে যেতে হবে। জ্বরের সময় তরলজাতীয় খাবার যা রোগীর বিপাকের হার বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকে আনা, হজমে ব্যাঘাত না ঘটানো ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে তরল খাদ্য হিসেবে ভাতের মাড় , ফলের রস, স্যুপ, লাল চা ইত্যাদি খেতে পারেন।
বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, যেমন কমলা, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস,আপেল ইত্যাদি টলারেবল মাত্রায় খেয়ে যেতে হবে। তরলের পাশাপাশি রোগীকে নরম বা অর্ধতরল খাবার দেওয়া গেলে ভালো। রোগীকে যেন বেশি চাবাতে না হয়, সহজে গেলা যায় এবং সহজে হজম হয়, সে জন্য নরম পথ্য নির্বাচন করতে হবে। ক্রমে নরম খাবার হিসাবে মাড়িভাত, সুজি, সাগু, পাতলা মুগ ডালের খিচুরি,শাক, ক্রমে কলা,পটল নরম কাঁটা ছাড়া সিং মাছের ঝোল সহকারে নরম ভাত ইত্যাদি খাবারও দেওয়া যেতে পারে ।
জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত নাঃ
ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া খাবার -পরাটা ,দুধ, ডিম , গোসত , কচু,বেগুন, তেলে ভাজা যে কোন প্রোডাক্ট , অতিরিক্ত শক্ত খাবা্র , কড়া দুধ চা ও কফি, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি এসব খাবার শুধু হজমেই অসুবিধা করে না, জ্বরে দ্রুত আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। তাই এ সময়টায় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতেই হবে।
পরিশেষে বলা যায়ঃ
জ্বর সাধারণত তেমন কোনো ভয়াবহ রোগ নয় । এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। একটু সচেতন হলেই এ থেকে নিরাপদ থাকা , নিরাময় লাভ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতারং আসুন সবাই সচেতনতার সাথে জ্বরের কারন লক্ষন ও চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য জেনে জ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলি এবং সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করি।
কোন মন্তব্য নেই